আমাদের পৃথিবীটা প্রতিদিনই পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন টেকনোলজির সাথে পরিচিত হচ্ছি আমরা। গতানুগতিক ধারার কাজকর্ম থেকে বেরিয়ে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অবস্থান করছি। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির সু-বাতাস অনেক বছর আগে থেকেই বইতে শুরু করেছে। সেই হিসেবে অনলাইন ভিত্তিক টেকনোলজি আমাদের যেই ভাবে ঘিরে ধরেছে সে থেকে বের হওয়ার আমাদের কোনো উপায় নেই। অর্থাৎ নিজের জ্ঞ্যাতে / অজ্ঞাতে আমরা অনলাইন এর বিভিন্ন সেবা বা বিভিন্ন প্রকার ভোগ করে আসছি।
এই যে বৃহৎ কর্মযজ্ঞ, এটাকে সামাল দিতে কাজ করছে লক্ষ-লক্ষ আইটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ সহজে বলতে গেলে আমরা প্রতিনিয়ত যে সকল টেকনোলজি ব্যবহার করছি এটার পেছনে কারিগর কিন্তু একরকম নয়। একজন প্রোগ্রামার, ইঞ্জিনিয়ারের একেকরকম উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীকে বদলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আশা-জাগানিয়া কথা হচ্ছে যে বাংলাদেশে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ থেকেও তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সফটওয়্যার এবং আইটি সার্ভিস। বিপিও সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান বৈশ্বিকভাবে অত্যন্ত শক্ত । আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের তরুন সমাজের অনেকেই বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে আমাদের দেশে।
এই কর্মযজ্ঞে সফটওয়্যার বাজার বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমরাও সংযুক্ত আছি এই কর্মযজ্ঞে। চলুন আমরা জেনে নেই সফটওয়্যার বাজার সম্পর্কে কিছু তথ্য যা আপনাকে আমাদের ব্যাপারে কিছু অজানা তথ্য জানতে সহযোগিতা করতে পারে।
সফটওয়্যার বাজার বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটি জনাব মাহফুজ আকন্দের হাত ধরে ২০১৫ সালে আকন্দ ইনফো টেকনোলজিস নামে নিবন্ধিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সেটি সফটওয়্যার বাজার বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়। বর্তমানে কোম্পানির জনবল রয়েছে ৩০ জনের অধিক। কোম্পানিটির হেড অফিসের অবস্থান ঢাকার উত্তরায়। গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কোম্পানিটি রংপুরে / রাজশাহীতে / চট্টগ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্রাঞ্চ অফিস সেটাপ করেছে। এছাড়াও সাব ব্রাঞ্চ অফিস রয়েছে বেশ কয়েকটা। যেগুলো লোকাল পরিবেশক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
সফটওয়্যার বাজার বাংলাদেশের রয়েছে বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) মেম্বারশিপ । সেই সাথে আমাদের কার্যক্রম যেহেতু অনলাইনভিত্তিক তাই আমাদের রয়েছে ই-ক্যাব ( ই-কমার্স বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ) এর মেম্বারশিপ। এছাড়াও আমাদের রয়েছে ই ক্লাব (এন্টারপ্রেনার ক্লাব অব বাংলাদেশ) এর মেম্বারশিপ। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশের প্রচলিত সকল প্রকার আইন-কানুন এবং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংগঠন এর সাথে সম্পৃক্ততা রেখে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যেতে।
বর্তমানে কোম্পানির বেশ কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি কপিরাইট এবং ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত। এর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
সমিতি কিপারঃ সমিতি কিপার সফটওয়্যারটি মাইক্রোফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য তৈরি করা। সম্পূর্ণ দেশে তৈরি করা এই সফটওয়্যারটি বর্তমানে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ব্যবহার করে আসছে। এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সফটওয়্যারটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পিএইচপি লারাভেল ফ্রেমওয়ার্ক। এই সফটওয়্যারটির সিকিউরিটি সিস্টেমে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে।
এই সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেনঃ https://somitykeeper.com/
——————————————————————————————
বিজনেস কিপারঃ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিজনেস কিপার সফটওয়্যারটি। এই সিস্টেম দিয়ে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসা এর যাবতীয় কাজকর্ম অনলাইনে সারতে পারেন। যেমন ইলেকট্রিক শো-রুম, স্টক ব্যবসা, ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট, গার্মেন্টস আইটেম সহ বায়িং হাউস যাবতীয় কর্মকাণ্ড খুব চমৎকারভাবে কভার দিতে পারে। সারাদেশে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আসছেন।
——————————————————————————————
ট্রান্সপোর্ট কিপারঃ ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা বাংলাদেশের মূল ধারার একটা অন্যতম একটা ব্যবসা। ব্যাপক আকারে বাংলাদেশের ট্রান্সপোর্ট বিজনেস চলমান রয়েছে। ট্রান্সপোর্ট বিজনেস এর কথা মাথায় আসলেই যে সেক্টরের চিত্র সামনে চলে আসে সেটা হচ্ছে ট্রাক-লরি লজিস্টিকস।
অর্থাৎ সারাদেশে পণ্য বহন এবং পোর্ট থেকে বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরি তে পণ্য পরিবহনে যে মালামাল বহন করা হয় এই বিষয়টাকে ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম বলা যায়। বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এর পাশাপাশি অনেক ছোট উদ্যোক্তা ২/৪/১০ টা বাস/পিকাপ/ট্রাক দিয়ে মাঝারি আকারে ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
কিন্তু অনেক সময় হাতে কলমে এই ব্যবসার হিসাব নিকাশ করতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়। কারণ বেশিরভাগ সময় যানবাহনগুলো রাস্তায় বা বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ট্রিপ বুকিং থেকে শুরু করে যাবতীয় অর্থনৈতিক এবং একাউন্টস এর কাজ করতে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় মালিক কে।
যেমন ট্রিপ বুকিং করা, মালামাল লোড করা, আনলোড করা, বিল আদায় করা, বকেয়া হিসাব রাখা, কর্মচারীদের তথ্য সংরক্ষণ করা, তাদের বেতন ভাতার হিসাব রাখা, যানবাহনের পার্টস সহ মেনটেনেন্স এর হিসাব নিকাশ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তেল খরচের হিসাব রাখা, কাস্টমার রিলেশনশিপ রক্ষা করা, প্রিন্টেড বিল তৈরি করা, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিক রাখা এবং রিমাইন্ডার পাওয়া সহ যাবতীয় কাজের সুষ্ঠ সমাধান দিতে পারে ট্রান্সপোর্ট কিপার সফটওয়্যার।
ট্রান্সপোর্ট কিপার সফটওয়্যারটি অনলাইন ভিত্তিক সফটওয়্যার। যেকোনো জায়গা থেকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। অধিকিন্তু মোবাইল এপ থেকেও ব্যবহারের সুবিধা আছে।
সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেনঃ https://transportkeeper.com/
——————————————————————————————
কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ তথ্যপ্রযুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে নিত্য নতুন টেকনোলজি আবিষ্কৃত হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী। আমরাও ঠিক সেভাবেই নিজেদের কে ছাপিয়ে যেতে প্রস্তুত রয়েছি। অর্থাৎ আমরা ও এই পরিবর্তনের অংশীদার হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা নিত্য নতুন সেবা আবিষ্কার করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে জীবনমান সহজীকরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।