১৯ শতক পর্যন্ত প্রতিবন্ধিতাকে চিকিৎসা বিষয়ক ও মানবিক দৃষ্টিকোন বিবেচনা করা হতো। মনে করা হতো পাপের ফলেই প্রতিবন্ধী হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বিবেচনা করা হতো অভিশাপ বা দূর্ভাগ্যের ফল হিসেবে। পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ার কারনে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে মানুষ সচেতন ছিল না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও তার আইনগত সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিলনা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ ছিল বঞ্চিত, অবজ্ঞা ও অবহেলার শিকার যা তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সরকারও প্রতিবন্ধী বিষয়টিকে কল্যাণকার হিসাবে বিবেচনা করে, লে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সকল প্রকার উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কাযক্রম হতে সম্পূণরূপে বঞ্চিত ছিল। খুব অল্প সংখ্যক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কাজ করছিল কিন্তু তারাও মূলত অধিকার অপেক্ষা চিকিৎসা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছিল।
ব্যক্তি জীবনে উপরোক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে খন্দকার জহুরুল আলম, (বর্তমান নির্বাহী পরিচালক, যিনি নিজেও একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী) দুইজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও আরো দুজন সমমনা সমাজকর্মীকে নিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলস্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে অলাভজনক ও সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সেন্টার ফর সার্ভিসেস এন্ড ইনফরমেশন অন ডিসএ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) গঠন করেন।
সফটওয়্যার বাজার বাংলাদেশ এর উদ্ভাবিত সমিতির হিসাব নিকাশের সফটওয়্যার সমিতি কিপার।
প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ তথ্য / উপাত্ত লেখার জন্য / এবং সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন প্রকার কৌশল অবলম্বন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মানুষ আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি তথা ক্লাউড টেকনোলজিতে বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংরক্ষণ এবং আদান প্রদান করছে।
যার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে আপনার হাতের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের স্ক্রিন, যেখানে আপনি আমার এই লেখাটি পড়ছেন। বিশ্বায়নের এই যুগে গ্লোবাল ভিলেজ ধারণাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে বলা হয়ে থাকে আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন আপনি যেন আপনার ঘরেই রয়েছেন। তবে বিশ্বায়নের এই ধারণার সাথে তাল মিলাতে গেলে আপনাকে প্রযুক্তিতে কিছুটা হলেও দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
আর বর্তমানে প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার জন্য পড়াশোনা ছাড়াই আমরা অটোমেটিকেলি কিছুটা হলেও দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছি। যেমন আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি আপনাকে প্রযুক্তির একেবারে কাছে টেনে নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে মানুষ নথিপত্র লেখা, সম্পাদনায়,সংরক্ষণ এবং আদান প্রদানের জন্য ক্লাউডস টেকনোলজির দিকে ঝুঁকছে দিনকে দিন। যেমন আমি আমার মোবাইল ফোনে লেখাটি লিখেছি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, এখন এই মুহূর্তে হয়তবা অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমার এই লেখাটি পড়ছে। জাস্ট এই ধারণাটা দিয়েই আমরা ক্লাউডস টেকনোলজি সম্পর্কে বুঝতে পারি।
প্রযুক্তির দিক থেকে হিসেব করলে সমবায় সেক্টর একটি পিছিয়ে পড়া সেক্টর। কারণ এখানে প্রযুক্তির ব্যবহার তথা ক্লাউডস টেকনোলজির ব্যবহার ১০ শতাংশের কম। তবে আশার বিষয় হচ্ছে এই দশকে মানুষ পঙ্গপালের মতোই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে অথবা প্রযুক্তি মানুষের দিকে পঙ্গপালের মতন ঝুঁকছে। অর্থাৎ বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে আপনি প্রযুক্তিকে ইগনোর করলে ও প্রযুক্তি আপনাকে এগনোর করতে দেবেনা।
ফিল্ড পর্যায়ে স্টাডি করতে গিয়ে দেখেছি একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর ৯০% ই হচ্ছে হিসাব-নিকাশ, তথ্য সংরক্ষণ , রিপোর্ট প্রণয়ন এইসব কাজ। যেখানে প্রতিনিয়ত হিসেব-নিকেশ আপডেট না করার কারণে গরমিল লেগেই থাকে। অডিটের সময় অনেক সময় ব্যয় করে রিপোর্ট তৈরি করতে হয়।
তবে সহজেই এসকল বিষয়কে একত্রিত করতে পারে সমিতি কিপার সফটওয়্যার। যা ইতোধ্যেই সারাদেশে ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে।