মেসেজিং সিস্টেম

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ । অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা অর্জন করে চলছি।  প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের কাছেই এখন মোবাইল ফোন বিদ্যমান।  অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মোবাইল এসএমএস বা নোটিফিকেশন শতভাগ গুরুত্ব অর্জন করেছে। সমিতি কিপার ব্যবহার কারি ১২০০+ প্রতিষ্টানের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়মিত এসএমএস সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন। এসএমএস সার্ভিস ব্যবহার করার ফলে প্রতিষ্ঠানের চুরি একদমই বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রাহকদের সাথে প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব তৈরি হয় না। তাছাড়া মাসিক এসএমএস পাঠিয়ে দিলে গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট থাকে এবং আপনার গ্রাহকদের বইগুলো ম্যানুয়ালি অডিট করার প্রয়োজন পড়ে না। 

আমাদের সমিতি কিপার সফটওয়্যার থেকেও মোবাইলে এসএমএস বা নোটিফিকেশন প্রেরণের সুবিধা রয়েছে।  এক্ষেত্রে একজন মাঠকর্মী / ফিল্ড অফিসার যখন কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা রিসিভ করবে তৎক্ষণাৎ গ্রাহকের মোবাইল ফোনে বর্তমান ব্যালেন্স সহ একটা কনফার্মেশন চলে যাবে।  এতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের টাকা থাকবে শতভাগ নিরাপদ।  

এই সিস্টেমটাকে বাল্ক এসএমএস সার্ভিস বলা হয়ে থাকে ।  আমরা আমাদের নিজস্ব এপিআই এর মাধ্যমে সফটওয়্যার সাথে এসএমএস সিস্টেম কানেক্ট করে থাকি।  এক্ষেত্রে আমাদের  মেসেজিং সার্ভিস এর খরচ সমূহ নিম্নরূপ– 

সেটাপ ফি প্রতি মেসেজ রিচার্জ
২০০০ ৩৫ পয়সা ইচ্ছেমত

 

আমাদের  এসএমএস গুলোর  ব্যালেন্সের মেয়াদ আনলিমিটেড 

বাল্ক এসএমএস এর ক্ষেত্রে বাংলায় এসএমএস পাঠানো বাধ্যতামূলক।  অর্থাৎ বিটিআরসি-এর নির্দেশনা মোতাবেক শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় আপনি এই ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারবেন না।  বাংলা এবং ইংরেজি মিশ্রন করা যেতে পারে।  চলুন একটা ধারণা নেওয়া যাক,  বাংলায় লিখলে একটা মেসেজে আপনি কতটুকু পরিমান লিখতে পারবেন– 

আমার সোনার বাংলা,  আমি তোমায় ভালবাসি, জন্ম দিয়েছো তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি। 

এই লাইনটিতে লাল অংশটুকু একটা মেসেজ (৬০ অক্ষর)  আর যদি ভালোবাসাটা সংযুক্ত করা হয় তাহলে ২ টা মেসেজ হয়ে যাবে।  তবে ইংরেজির ক্ষেত্রে একক মেসেজে ১৬০ অক্ষর পর্যন্ত লেখা যায়।

————————————————————-

এবার চলুন জেনে নেই কতভাবে আপনি ম্যাসেজ পাঠাতে পারবেনঃ- 

১ঃ  আপনি সফটওয়্যার থেকে অটোমেটিক  ট্রানজেকশনের মেসেজ পাঠাতে পারবেন।  অর্থাৎ লেনদেন সাবমিট হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই মেসেজ চলে যাবে গ্রাহকের নাম্বারে এক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত কোন কাজ করার প্রয়োজন নেই।

২ঃ  আপনি টার্গেট করে এরিয়া ভিত্তিক মেসেজ পাঠাতে পারবেন।  যেমন ঈদের সময় গ্রেটিংস জানাতে পারেন,  বিভিন্ন প্রকার নোটিশ গ্রাহকদের পাঠাতে পারেন। 

৩ঃ  আপনি আপনার গ্রাহক ব্যতীত যেকোনো নাম্বারে নির্ধারিত মেসেজ পাঠাতে পারবেন।  অর্থাৎ আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরকে মেসেজ পাঠাতে পারবেন।  বা অন্য কোন ব্যবসার প্রসারে ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারবেন।

৪ঃ মাস শেষে অথবা যে কোন সময় আপনি সদস্যদের ক্লোজিং ব্যালেন্সগুলো একটা ক্লিক করেই পাঠাতে পারবেন। 

————————————————————-

এবার চলুন জেনে নেই ম্যাসেজিং চালু করলে আপনি কি কি পাবেন? 

এসএমএস সিস্টেম চালু হয়ে যাবার পর আপনি আপনার সফটওয়্যার থেকেই এসএমএস প্যানেলে লগইন করতে পারবেন।  যার জন্য আপনার আলাদা আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।  যদি আপনি পাসওয়ার্ড ভুলে যেয়ে থাকেন তাহলে রিকভারি করতে পারবেন নিজে নিজেই। 

আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে আপনি নিজে নিজেই বিকাশের মাধ্যমে অটোমেটিকলি রিচার্জ করতে পারবেন।  এসএমএস প্যানেলে আপনি আপনার বর্তমান ব্যালেন্স এবং এসএমএস এর সংখ্যা দেখতে পাবেন।  এবং আপনার প্রতিটা মেসেজে কত টাকা করে খরচ হচ্ছে সেটাও দেখতে পারবেন। 

 

এসএমএস প্যানেলের লিংকঃ http://portal.akandit.net

 

 

 

 

কি খুজছেন এখানে লিখুন